বাংলাদেশের উপ দূতাবাসের (Bangladesh High Commission) সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ ঠেকাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে সংগঠনের সদস্যের রক্ত ঝরার অভিযোগ উঠল।
শেষ আপডেট: 23 December 2025 14:16
বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। সেই একই উদ্বেগ রাষ্ট্রপুঞ্জেরও। এবার দীপুচন্দ্র দাসকে (Dipu Chandra Das) পিটিয়ে খুনের প্রতিবাদে রণক্ষেত্র কলকাতার বেকবাগান (Kolkata Beck Bagan)। বাংলাদেশের উপ দূতাবাসের (Bangladesh High Commission) সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ ঠেকাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে সংগঠনের সদস্যের রক্ত ঝরার অভিযোগ উঠল। যার জেরে এখন রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণের সদস্যরা।
ক'দিন আগে বাংলাদেশের ময়মনসিংহে দীপুচন্দ্র দাসকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। পরে তাঁর দেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে ন্যায়বিচারের দাবি তুলেছে ভারত। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সে দেশের সংখ্যালঘুদের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়েও। সোমবার রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিককে প্রশ্ন করা হয় বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে। গত কয়েক দিনে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের ঘটনায় মহাসচিবের অবস্থান জানতে চাওয়া হয় (Bangladesh News)।
মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এ ব্যাপারে বিবৃতিও দিয়েছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, ময়মনসিংহের ঘটনা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ভারতের কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা বলে দেখাচ্ছেন বলে দাবি করেছে তারা। বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, বাংলাদেশে একজন নাগরিকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে সংখ্যালঘু নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত করার কোনও যৌক্তিকতা নেই।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের (Bangladesh High Commission) সামনে আবারও তীব্র বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) ও বজরং দলের (Bajrang Dal) নেতৃত্বে এই আন্দোলনে অংশ নেন শতাধিক বিক্ষোভকারী।
বাংলাদেশের ময়মনসিংহে ঘটে যাওয়া এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘু হিন্দুদের (Minority Hindus) উপর অত্যাচার এবং ধর্মীয়স্থানে ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে সরব হন বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যখন বিক্ষোভকারীরা পুলিশের বসানো ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, অন্তত দু’টি স্তরের ব্যারিকেড ভাঙা হয়। 'ভারত মাতা কি জয়', 'ইউনুস সরকার হুঁশে আসো' এবং 'হিন্দু হত্যা বন্ধ করো' - এই ধরনের স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে এলাকা।
বিক্ষোভকারীদের হাতে দেখা যায় নানা প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার, যেখানে দীপু দাসের হত্যার বিচার এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসের কুশপুতুলও পোড়ানো হয়।