ট্রাম্পের চালে কোণঠাসা ভারত, দাবি চিনের

 ট্রাম্পের চালে কোণঠাসা ভারত, দাবি চিনের

এশিয়ার রাজনীতিতে চিনের খবরদারির মোকাবিলা করতে এক সময় ভারতের সঙ্গে আমেরিকার অংশীদারিত্ব বড় ভূমিকা নিত। ট্রাম্প প্রশাসনের ভোলবদলের ফলে এখন সেই সম্পর্কই ভারতের জন্য কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।



ভারতের উপরে আজ থেকে ২৫ শতাংশ বাণিজ্য শুল্ক কার্যকর করার কথা ঘোষণা করেছে আমেরিকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এক সময় ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধুর’ তকমা দিলেও, রাজনীতি আর কূটনীতির ময়দানে সাম্প্রতিক কালে মোটেই বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করছেন না আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের উপরে বাণিজ্য শুল্ক চাপানোর পাশাপাশি পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করেছে আমেরিকা।

শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথ ভাবে পাক তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রে থেকে জ্বালানি নিষ্কাষণের কথাও জানিয়েছে তারা। সঙ্গে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘এমন একটা দিন আসবে, যে দিন হয়তো পাকিস্তানের থেকেই তেল কিনবে ভারত।’’ সব কিছু মিলিয়ে বেজায় চাপের মুখে পড়েছে ভারত। এক দিকে, ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের অবনতি হয়েছে, অন্য দিকে পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার হৃদ্যতা বেড়েছে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই জোড়া পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ফায়দা হচ্ছে চিনের।

এশিয়ার রাজনীতিতে চিনের খবরদারির মোকাবিলা করতে এক সময় ভারতের সঙ্গে আমেরিকার অংশীদারিত্ব বড় ভূমিকা নিত। ট্রাম্প প্রশাসনের ভোলবদলের ফলে এখন সেই সম্পর্কই ভারতের জন্য কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিনা সংবাদমাধ্যমগুলিতে বলা হচ্ছে, ‘খনিজ কূটনীতি দিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে জোট বেঁধে ভারতকে কোণঠাসা করছে আমেরিকা।’ চিনের জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং সাইটে জনৈক নেটিজ়েনের দাবি, ‘মোদী সরকারের মিথ্যা এ বার ফাঁস হয়ে গিয়েছে। ট্রাম্পের সাম্প্রতিক সমস্ত মন্তব্য ভারতের মুখে জোর থাপ্পড়। পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে আসলে ভারতকেই কোণঠাসা করছে আমেরিকা।’ আর এক নেটিজ়েন লিখেছেন, ‘আঞ্চলিক ফায়দা লুটতে ভারত-পাকিস্তান দু’পক্ষকেই হাতে রাখছে আমেরিকা।’ আর চিন এবং আমেরিকা— দু’দেশের সঙ্গেই সখ্যতা বাড়াচ্ছে পাকিস্তান।

এই পরিস্থিতিতে চিনের মাটি থেকে নতুন একটি কৃত্রিম উপগ্রহ সফল ভাবে উৎক্ষেপণের কথা ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার চিনের সিচুয়ান প্রদেশ থেকে ‘দ্য পাকিস্তান রিমোট-সেন্সিং স্যাটেলাইন’ (পিআরএসএস-১) নামে ওই কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হয়। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, পরিবেশ বদল রুখতে, প্রাকৃতিক বিপর্যয় সম্পর্কে সতর্কবার্তা দিতে ওই কৃত্রিম উপগ্রহকে কাজে লাগানো হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post